এক জায়গা থেকেই সব সরকারি সেবার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী
এক জায়গা থেকেই সব সরকারি সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বস্তিবাসীর জন্য মিরপুরে ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সেখানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষও আমাদের প্রয়োজন। প্রতিদিন কাজের জন্য তাদের আমাদের দরকার। বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজের জন্য এ ধরনের মানুষ প্রয়োজন রয়েছে। বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এতো মানবেতর জীবনযাপন করে…। আমাদের দেশে হরিজন, দলিত শ্রেণি ছিল। তাদের জন্য আমরা ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিয়েছিলাম; ৯৬ সালে সেটা শুরু করেছিলাম। মাঝে বিএনপি এসে সেগুলো লুটপাট করে খায় এবং নষ্ট করে দেয়। সেই বিল্ডিংগুলো ভেঙে এখন নতুন করে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে কয়েকটা করা হয়েছে। আরও কয়েকটা করব। আজকে ৩০০টা ফ্ল্যাট ৩০০ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা এ ব্যবস্থা নেব; তবে তাদের ভাড়া দিয়ে থাকতে হবে। এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকায় বসবাসরত বস্তিবাসীর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ফ্ল্যাট করে দেওয়ার এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ওই বছর ২৬ অক্টোবর এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে এ প্রকল্পে। এরই ধারাবাহিকতায় মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বস্তিবাসীর জন্য সর্বমোট দশ হাজার ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে। আজ ৩০০ পরিবারের হাতে বরাদ্দপত্র দেওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে আরও এক হাজার একটি পরিবারকে। ওই বস্তিতে থাকা দশ হাজার পরিবার নতুন ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন। প্রতিটি ফ্ল্যাটে রয়েছে কমিউনিটি হল, দুটি লিফট ও প্রশস্ত সিঁড়ি। এ ছাড়াও রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা, ৪০ কেভিএ জেনারেটর ও ২৫০ কেভিএ সাব-স্টেশন সুবিধা। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজধানীর মতিঝিল, আজিমপুর, মিরপুর, মালিবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় পাঁচটি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পের অধীনে আজিমপুর সরকারি কলোনিতে ১৭টি ২০ তলা ভবনে এক হাজার ২৯২টি, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে ২৮৮টি, মালিবাগে চারটি ২০ তলা ভবনে ৪৫৬টি এবং মতিঝিলে পাঁচটি ২০ তলা ভবনে ৩৮০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আটতলার দুটি আবাসিক ভবন। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট বরাদ্দ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের সুবিধা বেড়েছে। ৩০০ বস্তিবাসীর জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট বিশাল একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দরিদ্রদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গভীর ভালোবাসা, তা প্রকাশ পেয়েছে।